দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে যাত্রী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার আরও পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত সাত যাত্রী।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চৌহালী উপজেলার মিটুয়ানী, স্থলচর ও আজিমুদ্দিন মোড় এলাকায় যমুনা নদীতে তিনটি লাশ ভেসে ওঠে। পরে এলাকাবাসী লাশগুলো উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে পুলিশের বেলকুচি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির জানান, আজ সকালে এনায়েতপুরের স্থলচরের পাশে একটি লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী লাশটি উদ্ধার করে।
আজ সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এ সময় আজিমুদ্দি মোড় এলাকা থেকে দুজন, স্থলচর একজন ও ঘুসুরিয়ায় এক জনের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলিল সমাধি হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার জীবিত অবস্থায় আরও ৫৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক ছিলেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রী নজরুল ইসলাম জানান, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবি মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিল। নৌকায় ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকাডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলাবাসী শোকাহত। নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আহতদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এনায়েতপুর থেকে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চৌহালীর দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও দুটি লাশ উদ্ধার হয়।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন